এখন বাংলা ডেস্ক — সরকারের পুজো কার্নিভাল ও দ্রোহের কার্নিভাল একই দিনে হওয়ায় কলকাতায় ১৬৩ ধারা জারি করে লালবাজার । এই ইস্যুতে মামলার শুনানিতে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে কলকাতা পুুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টে ফের খারিজ হয় রাজ্য সরকারের আবেদন। আদালত দ্রোহের কার্নিভাল করার অনুমোদন দেওয়া হয় জুনিয়র ডাক্তারদের।
বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুরের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়।সকলের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে বলে রায় দেন বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরেই দ্রোহের কার্নিভালের জন্যে পুলিশ খুলে দেয় লোহার ব্যারিকেড বাধার শেকল, সরিয়ে দেয় ব্যারিকেড।

মঙ্গলবার বিকেলে জোড়া কার্নিভালে স্তব্ধ হয়ে যায় ধর্মতলা চত্বর। একদিকে রানি রাসমণি রোডে দ্রোহের কার্নিভালে স্লোগানে, গানে, নাচে আলোড়িত হয় রাজপথ। দ্রোহের কার্নিভালে ঢাকের তালে স্লোগান দেয় আমজনতা। স্লোগান ওঠে ‘‘শাসক থাকবে কত ক্ষণ? শাসক যাবে বিসর্জন।’’ মানুষের ব্যারিকেডে মুখরিত হয় অভয়ার জাস্টিস। শৃঙ্খলিত মানববন্ধনে পুলিশ বাস ঢুকিয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখার্জিকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়।পুলিশকে গো-ব্যাক স্লোগান দেয় আন্দোলনকারীরা।
অন্যদিকে উৎসবের কার্নিভালে ছিল শিল্পীদের গানের ছন্দে নাচ। আলো ঝলমল মঞ্চে সাংসদ তারকা রচনা, জুন ও সায়নীর মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুপস্থিত ছিলেন তারকা সাংসদ দেব। বিতর্ক এড়াতে রেড রোডের কার্নিভালে থাকবেন না বলে থেকেই জানিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তাঁর সহধর্মিণী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের স্কুল দীক্ষা মঞ্জরীর তরফে পরিবেশিত হয় নৃত্যানুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুরে “আমার আড়ালে আমার আবডালে” গানের উপর নাচ পরিবেশিত হয়।