রণবীর মুখোপাধ্যায় — জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অচল করে দেবার ঘোষণা পরেই সম্বিত প্রশাসনের। তড়িঘড়ি ধর্মতলার অনশন মঞ্চে হাজির মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব। ড্যামেজ কন্ট্রোলে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।
বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ২১শে অক্টোবর সোমবারের মধ্যে সরকার তাদের দাবি মেনে না নিলে রাজ্যের সর্বস্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবায় ধর্মঘট হবে। সরকারের উদ্দেশ্যে এই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রশাসন দ্বারস্থ হয় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে। অনশন তুলে নেবার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। রোগী পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করেন।

অনশনকারীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানান তিনি মানবিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখছেন। সোমবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তিনি আরও বলেন ‘আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। বেশিরভাগ দাবিই পূরণ করেছি। প্রথমে ৫টি দাবির মধ্যে ৪টি দাবিই পূরণ করা হয়েছে। শুধু স্বাস্থ্যসচিবকে সরাতে পারিনি। দিদি হিসেবে বলছি, আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হবে। আপনারা অনশন তুলে দয়া করে কাজে যোগ দিন’। মাস চারেকের মধ্যে হাসপাতালে নির্বাচন করাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মুখ্যসচিবের ফোন থেকে কিছুক্ষণ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে দেবাশীষ হালদার জানান বিগত ১৪ দিন ধরে অনশন করছেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা। এরফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারা। কিন্তু যতদিন সরকার তাঁদের ১০ দফা দাবি না মানবেন ততদিন অনশন তুলবেন না। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন “যতটুকু করা সম্ভব কথা দিচ্ছি নিশ্চয়ই করব”। পূর্বসূরি মুখ্যমন্ত্রীর মত “ধর্মঘট না তুললে আমরাও চুপ করে বসে থাকব না, মানুষের দাবি আপনাদের কাছে শিখব? সীমা ছাড়াচ্ছেন, বিপদে পড়বেন” এরকম মনোভাব দেখান নি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই আবেদনের পর জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন তোলেন নাকি আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন, সোমবার বৈঠকের পর জানা যাবে।