রণবীর মুখোপাধ্যায় – আর জি কর ইস্যুতে সাংসদ পদ ছেড়েছেন জহর সরকার। এবার রাজনীতি ছাড়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের। সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ সংবাদ মাধ্যম মালিকের।
মঙ্গলবার মাঝরাতে লেখা শাসক বিধায়কের পোস্টে বুধবার বাংলার রাজনীতি উত্তপ্ত। ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল বিধায়ক লিখেছেন, “আমি কৃষ্ণ কল্যাণী, একজন জনপ্রতিনিধি৷ আর জেলাশাসক জনগণের চাকর৷ যদি এই ব্যবস্থার পরিবর্তন না হয়, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব৷ আমি জনসেবা করায় বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করব”৷ অর্থাৎ তার কেরিয়ার ও প্রতিপত্তি রাজনীতি নির্ভর নয়।

প্রিয়রঞ্জন পরবর্তী রায়গঞ্জে রাজনীতির ‘কৃষ্ণ’ কল্যাণী। প্রসঙ্গত ২০২১ বিধানসভার আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে রায়গঞ্জ থেকে জয়ী হন। পরবর্তীতে বিজেপি রাজনীতির সঙ্গে মানাতে না পারায় তৃণমূলে ফিরে আসেন এবং পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হন। বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এই নিয়ে তরজা চলে। তার একাধিক ব্যবসাস্থলে ইডিকে দিয়ে রেইড করিয়েও বাগে আনতে পারেন নি বিরোধী দলনেতা বলে রাজনৈতিক মহলে অভিমত। চলতি বছরে তৃণমূলের টিকিটে রায়গঞ্জ উপনির্বাচনে সব প্রতিকূলতাকে সরিয়ে পুনরায় বিজয়ী হন।
জানা গিয়েছে এলাকার প্রশাসন ও উন্নয়ন নিয়ে জেলা শাসকের ভূমিকায় বিধায়কের অসন্তোষ। সেই জেরে তিনি রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছেন। এখন প্রশ্ন আস্থা হারিয়ে কি মুখ্যমন্ত্রী বা দলকে না জানিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন?